বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ মহড়ায় বাংলাদেশ ও ভারত

বঙ্গোপসাগরে তিন দিনব্যাপী যৌথ নৌ মহড়া ও টহল শুরু করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। নৌ বাহিনীর জাহাজ ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটের (এমপিএ) অংশগ্রহণে আজ শনিবার থেকে উভয় দেশের সমুদ্র্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় শুরু হয় দ্বিপাক্ষিক মহড়া ‘বঙ্গসাগর’ ও যৌথ টহল ‘কো অর্ডিনেটেড প্যাট্রোল (সিওআরপিএটি)’। এই মহড়া ও টহল চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।

বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ মহড়া দিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ছবি- সংগৃহীত

আজ শনিবার এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এই যৌথ মহড়া ও টহলে অংশ নেবে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজ বানৌজ আবু বকর ও বানৌজ প্রত্যয়। ভারতের পক্ষ থেকে অংশ নেবে দেশটির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস খুকরি ও আইএনএস কিলতান। এতে উভয় দেশেরই একটি করে এমপিএ অংশ গ্রহণ করবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার এই যৌথ মহড়া ও টহলে অংশ নিয়ে মোংলা নৌ-জেটি ত্যাগ করে বাংলাদেশের যুদ্ধ জাহাজ বানৌজ আবু বকর ও বানৌজ প্রত্যয়। ভারত ও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় চোরাচালান, অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, জলদস্যুতা, মানব ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রুখতেই এই যৌথ মহড়া ও টহল পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বানৌজ প্রত্যয় (বাঁয়ে) ও বানৌজ আবু বকর (ডানে)। ছবি- সংগৃহীত

তারা জানায়, এই যৌথ নৌ মহড়া ও টহল বঙ্গোপসাগরে উভয় দেশের জলসীমায় সমুদ্র বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া সেসব তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসন ও সমুদ্র পথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজসমূহ চিহ্নিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।