বেগমগঞ্জের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে (৩৭) বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বাদলসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রধান আসামি বাদল (নীল গেঞ্জি), বামে আরো দুই জন

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে।

র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম আজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পরই জড়িতদের কয়েকজন গা ঢাকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। এমন খবর পেয়ে র‌্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। পরে ঢাকা হাইওয়ে এলাকা থেকে মধ্যরাতে (রোববার দিবাগত) প্রধান আসামি বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে, দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ ভোরে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বেগমগঞ্জের ম্যাপ

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এর পর সংশ্লিষ্টদের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করা হবে।

এ ছাড়া বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ এর আগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- আবদুর রহিম (২০) ও রহমত উল্লাহ (৪১)।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে আবদুর রহিম এবং রাত ১০টার দিকে রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল নির্যাতনের শিকার ওই নারী বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। অন্য মামলাটি করেন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। উভয় মামলাতেই ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে ঘটে।

ওসি হারুন জানান, ঘটনাটি এক মাস আগের হলেও ওই নারী কিংবা তার পরিবারের কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। তবে ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর মামলা করা হয়। বিষয়টি শোনার পর তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। এ সময় আবদুর রহিম নামের একজনকে আটক করা হয়।