‘বেকার’ পড়ে আছে ১০ কোটি টাকার ব্রিজ

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ভোজেশ্বর কীর্তিনাশা নদীর ওপর পৌনে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। গত দুই বছরেও এর সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ব্রিজটি পড়ে আছে বেকার। এতে স্থানীয় ৪টি ইউনিয়নের মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

১০ কোটি টাকার ব্রিজ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভোজেশ্বর-মহিষখোলা সড়কে ব্রিজটি নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ব্রিজটির কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। এতদিনেও এর সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চলাচল করতে পারছেন না এলাকাবাসী।

পকেটের টাকায় এখনো খেয়া নৌকায় চলাচল করায় বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় চারটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এছাড়া নিজেদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বহনেও বেশ ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষকে।

এ বিষয়ে ভোজেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রব মগদম জানান, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী নিয়ে খেয়া পার করে বাজারে আনেন। অথচ ব্রিজটি বেকারই পড়ে আছে, কোনো কাজে আসছে না।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা ব্রিজ কেবল সংযোগ সড়কের অভাবে পড়ে থাকায় ক্ষুব্ধ সেখানকার লোকজন। তারা দ্রুত এ সড়ক নির্মাণ করে সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

স্থানীয় জপসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলছেন, শত বছরের পুরনো ভোজেশ্বর বন্দর। সে কারেণ কীর্তিনাশা নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়, যাতে মানুষজন ভালোভাবে চলাচল করতে পারে, পণ্য পরিবহন করতে পারে।

এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার এলাবাসী সে সুবিধা গত দুই বছরেও পায়নি। কৃষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ খেয়া পার হয়ে যাতায়াত করায় অসুবিধায় পড়ছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাজাহান ফরাজী জানান, সংযোগ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে সমস্যা চলছিল। তা সমাধান হওয়ায় দ্রুতই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করা হবে। বন্যার কারণে সড়ক নির্মাণে দেরি হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরু হবে।