ভোট কারচুপি: জনতার দখলে পার্লামেন্ট-প্রেসিডেন্ট ভবন

কিরগিজিস্তানে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে দেশটির পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট ভবন দখল করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। নির্বাচনী ফল বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন এখন সরকার পতনে রূপ নিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিরগিজিস্তানে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ

ডয়চে ভেলে ও পার্সটুডের খবরে বলা হয়, কিরগিজিস্তানে গত রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে বিরোধী দলগুলো। তারা ফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। দেশটির রাজধানী বিশকেকে আজ মঙ্গলবার সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা সকালে পার্লামেন্ট ভবন ও প্রেসিডেন্ট ভবন দখল করতে গেলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো। তারা প্রধান ফটক ভেঙে পার্লামেন্ট ও প্রেসিন্টে ভবনে ডুকে পড়ে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা প্রহরীরা তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে যায়। ওই ভবনের কম্পাউন্ডে দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের সদর দপ্তরও রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ফটক ভাঙছে জনতা, পার্লামেন্ট ভবনে আগুন জ্বলছে

দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কম্পাউন্ডে থাকা বেশ কয়েকটি ভবন দখল করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পার্লামেন্টেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

কিরগিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জিনবেকভেল বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। যদিও তার মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রাশিয়ার স্পুৎনিক জানিয়েছে, তিনি রাজধানীতে রয়েছেন এবং এ ঘটনার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভকে দায়ী করেছেন তিনি।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে থাকা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেককে মুক্ত করে এনেছে। এটি কোনো ধরনের রক্তপাত বা সংঘর্ষ ছাড়াই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি। গত আগস্টে তাকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় সেদেশের আদালত। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুরোনবাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জাড়িয়ে পড়ার পর এ রায় দেয়া হয়।