ফ্লাইট বাড়লেও সব প্রবাসীর সৌদিযাত্রা ‘অনিশ্চিত’!

দেশে এসে করোনার কারণে আটকা পড়া সব সৌদি প্রবাসীর কর্মক্ষেত্রে যোগদান নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটছে না। প্রবাসীদের দ্রুত সৌদি আরবে ফেরাতে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স সরাসরি ফ্লাইট বাড়িয়েছে। তবে অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ফ্লাইট চালু না করায় কয়েক হাজার প্রবাসী সমস্যায় পড়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের সামনে সৌদি প্রবাসীদের ভিড় - ফাইল ছবি

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিমান ও সৌদিয়ায় যাদের ফিরতি টিটিক ছিল, তাদের টিকিট রি-ইস্যু করা হচ্ছে, সৌদি আরবে যেতে পারছেন। নতুন করে কাউকে টিকিট দেয়া হচ্ছে না। ফলে অন্য এয়ারলাইন্সগুলোতে দেশে আসা এবং ফিরতি টিকিট নেয়া কয়েক হাজার প্রবাসীর টিকিট রি-ইস্যু করা হচ্ছে না।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে বিমান কার্যালয় ও হোটেল সোনারগাওয়ে সৌদিয়া কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অন্য এয়ারলাইন্সের টিকিট নেয়া অসংখ্য প্রবাসী ফিরতি টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। বিমান ও সৌদিয়ার টিকিট না পেয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়া নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার কারণে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশ-সৌদি আরব রুটে বছরে প্রায় দেড় লাখ যাত্রী পরিবহন করতো বিমান ও সৌদিয়া। এ রুটে আরো প্রায় দেড় লাখ যাত্রী পরিবহন করতো অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো।

সৌদি এয়ারলাইন্স ঘিরে প্রবাসীদের ঢল -ফাইল ছবি

এর মধ্যে সপ্তাহে ১০টি করে ফ্লাইট চালুর কথা থাকলেও বিমান ৯টি ও সৌদিয়া ৮টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে এখনো ফ্লাইট চালু করতে পারেনি কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার ও ইতিহাদ। এ ছাড়া কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার আরাবিয়া ও ফ্লাই দুবাই সৌদিতে ফ্লাইট চালু করলেও ট্রানজিট যাত্রী নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদিয়া ও ১ অক্টোবর বিমান নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। বন্ধ থাকা এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট ফের চালু করতে চাইলে যাচাই সাপেক্ষে বিবেচনা করা হবে।

এর আগে সম্প্রতি কুয়েত সফরকালে বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট ফের চালু করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, সেজন্য বিষয়টি বিশেষ বিবেচনারও অনুরোধ জানানো হয়।