ধর্ষণের প্রতিবাদে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের জনগণ

সিলেটের এমসি কলেজের পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এই দুটি স্থানে দুই জন গৃহবধূ ধর্ষণ ও নিযাতনের শিকার হয়ে হয়েছেন। এরপরই গর্জে উঠেছে পুরো দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সাধারণ জনতা।

ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে ময়মনসিংহের জনতা

সবার একটাই দাবি, ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি জেলাতেই আন্দোলনে নেমেছেন সচেতন নাগরিকরা। কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করছেন, আবার কেউ রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চলছে এবং প্রতিদিনই ক্রমশ তা বাড়ছে।

আজ বুধবার এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনতা। শহরের টাউন হল মোড়ে একদল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে ধর্ষণবিরোধী এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে ময়মনসিংহের জনতা

বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই মানববন্ধন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয় দূর করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। আগামীকালও এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।

প্রতিবাদে অংশ নেয়া ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রিফাত আকন্দ অন্তর বলেন, এই আন্দোলনে এত মানুষের সরব উপস্থিতিই বুঝিয়ে দেয় যে, আমরা কী করতে যাচ্ছি এবং কী বোঝাতে চাচ্ছি। আমাদের এই কার্যক্রম আগামীকালও হবে। আর এ আন্দোলন কেবল ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন।

ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে ময়মনসিংহের জনতা

আনন্দমহন কলেজের শিক্ষার্থী এলিন হাসান বলেন, আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ চাই। যেখানে ধর্ষণের মতো নিষ্ঠুর ও অমানবিক কাজ করার সাহস কেউ করতে পারবে না। দেশের কোনো অনিয়ম-অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা আর চুপ করে বসে থাকবো না। সময় এসেছে সমাজকে ঠিক করার।