শাহবাগে গণ-অবস্থান চতুর্থ দিনে, কাল মহাসমাবেশ

নোয়াখালীসহ সারা দেশে অব্যাহত নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় রাজধানী ঢাকার শাহবাগে চতুর্থ দিনের মতো ছাত্রদের গণ-অবস্থান ও বিক্ষোভ চলছে। বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও এতে যোগ দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় শাহবাগে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।

শাহবাগে ছাত্র বিক্ষোভ

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষণ ও নির্যাতনে দোষীরা সহায়তা পাওয়ায় তারা বার বার এমন ঘটনা ঘটায়। ধর্ষক ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। এ জন্য গণ-অবস্থান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারী।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছন্দ মিলিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে- ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘ধর্ষক লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পদত্যাগ করতে হবে’, ‘প্রীতিলতার বাংলাদেশে, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘প্রতিবাদের স্লোগান মুখে, প্রতিবাদের আগুন মুখে, ধর্ষকদের দাঁড়াও রুখে’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের হবে না’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষক পুষে, সে রাষ্ট্র ভেঙে দাও’, ‘ধর্ষকদের কারখানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও চলছে প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি।

গণ-অবস্থান ও বিক্ষোভে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেন।

শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী অবস্থান

ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ বলেন, দেশে যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তা একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতির কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।

নোয়াখালীর ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার যথেষ্ট নয়, দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেইসঙ্গে ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া ব্যক্তিদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’