ডিবেটে হ্যারিসের আধিপত্য, হতাশ পেন্স

আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের নির্বাচনী ডিবেট। এতে সবদিক দিয়েই ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বিজয়ী মনে হয়েছে। বিপরীতে বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী মাইক পেন্সকে বেশ হতাশ মনে হয়েছে বলে বলছেন বিশ্লেষকরা।

কমলা হ্যারিস ও মাইক পেন্স

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনী ডিবেটে প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিয়েছিলেন মাইক পেন্স। যা পরবর্তীতে নির্বাচনে তাকে জয় পেতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু এ বছর তাকে বেশ হতাশ মনে হচ্ছে। বিশেষ করে, প্রতিপক্ষ প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সামনে তিনি যেন ভোটের আগেই হেরে গেলেন।

বিপরীতে ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিসের এটাই জাতীয় পর্যায়ের লড়াইয়ে প্রথম ডিবেট। আর তাতেই যেন বাজিমাত করলেন তিনি। এই লড়াইয়ে শুধু যে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তা নয়, বরং প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও আসেন। প্রতিটি মুহূর্তে তার মুখে হাসি বজায় ছিল।

ডিবেটের মঞ্চে ডেমোক্র্যাট মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী মাইক পেন্স

ভোটাররা সহজেই দুই প্রার্থীর মাঝে তুলনা করতে পেরেছেন। এই ডিবেটে নীতিগত পার্থক্য বাদে, তারা দুটি ভিন্ন ভিন্ন মানুষকেও দেখার সুযোগ পেয়েছেন। একজন পুরোটা সময় মুখে হাসি বজায় রেখেছেন, অন্যজন হতাশ মুখে বসেছিলেন। একজন মডারেটরের প্রশ্নের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন, অন্যজন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন। একজন ভদ্রতার সহিত বিতর্ক শেষ করেছেন, অন্যজন যেন এটা শেষ করার জন্যই এখানে এসেছেন।

ডিবেট চলাকালে এভাবেই হাসিমুখে ছিলেন কমলা হ্যারিস

হ্যারিসের আধিপত্য ছাড়াও, বিতর্কটির অন্য শিরোনাম হলো- পর পর দু'বার এই মঞ্চে আসা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বিতর্কের এক পর্যায়ে অস্বীকার করেছেন যে, তারা নির্বাচনের দিন জনগণের ইচ্ছা মেনে নেবেন। যদি শেষ দুটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডিবেট পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে এ বছরের বিতর্ক আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠতে পারে সেটাই।