নূরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে সেই শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা সেই ঢাবি শিক্ষার্থী।

নূর ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরণ অনশনে সেই ঢাবি শিক্ষার্থী

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তিনি ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন।

গণমাধ্যমকে এই শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে ধর্ষণ একটা মহামারি আকার ধারণ করেছে, যার ভুক্তভোগী আমিও। বিষয়টি নিয়ে লালবাগ কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই আমরণ অনশনে বসেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

তিনি বলেন, মামলা করেছি ১৭ দিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এটা কেনো হবে? হয়তো পুলিশ প্রভাবিত হয়ে গেছে, আর আসামিরা তো প্রভাবশালী। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বা অদৃশ্য শক্তির বলে এমনটা হচ্ছে।

অনশনে সংহতি প্রকাশ করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেত্রীরাও

এদিকে, তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সেখানে ছাত্রলীগের নেত্রীরাও অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারজানা নিপা, ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক জেরিন তাসনিম পূর্ণি, ছাত্রলীগ নেত্রী মহসুনা খাতুন মাইশা, মিতালী মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন কর্মী।

প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় ভিপি নুরুল হক নূরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ঢাবির ওই ছাত্রী। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর

মামলার প্রধান আসামি হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে উল্লেখ করে ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে মামুনের বাসার কথা বলা হয়েছে।

বাকি আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।