ঘুষ গ্রহণ: তিতাসের দুই কর্মকর্তার কারাদণ্ড

গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তিতাস গ্যাসের দুই কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তাদের দুই জনের ৫ বছর করে করাদণ্ডের আদেশ দেন।

তিতাসের দুই কর্মকর্তার কারাদণ্ড- প্রতীকী ছবি

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তিতাস গ্যাসের সহকারী উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান মো. আব্দুর রহিম। তারা দুজনই রাজধানীর ডেমরাস্থ তিতাস গ্যাস অফিসে কর্মরত ছিলেন।

আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ে দুই আসামির ৫ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এ অর্থ অনাদায়ে তাদের দুই জনের আরো ৩ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আজ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি কামরুজ্জামান সরকার। বিচারক রায় ঘোষণার পর তাকে আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিনে থাকা অপর আসামি আব্দুর রহিম আজ আদালতে উপস্থিত হননি। তাই আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

তিতাসের দুই কর্মকর্তার কারাদণ্ড- প্রতীকী ছবি

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে রাজধানীর দক্ষিণখানে অবস্থিত নিপ্পন সোয়েটার্সে গ্যাস মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ডি এম আসাদুজ্জামান আওলাদ। এ সময় অভিযুক্ত দুই আসামি মিটার স্থাপনের জন্য তার কাছে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক তাদের টাকা দিতে রাজি হন। পরে ওই বছরের ১০ জুন ও ১৩ জুন প্রতিষ্ঠানটির হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে যথাক্রমে ২ হাজার ও ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় তিতাস গ্যাসের টেকনিশিয়ান আব্দুর রহিম। বাকি টাকা পরদিন মিটার সংযোগের সময় দেওয়ার কথা থাকে।

এদিকে, আসাদুজ্জামান বিষয়টি র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ানকে (র‌্যাব-১) অবহিত করেন। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে ১৪ জুন মিটার সংযোগস্থলে অবস্থান নেয়। কাজ শেষ হওয়ার পর অভিযুক্তরা আসাদুজ্জামানের ম্যানেজারের কাছ থেকে বাকি ৬ হাজার টাকা নিতে গেলে তাদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় পরদিন ১৫ জুন একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক আসাদুজ্জামান। মামলাটি তদন্ত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক জাহিদ হোসেন। পরে তদন্ত শেষে গত ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই বছরেরই ১৭ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতের চার্জ গঠনের পর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। যার রায় দেওয়া হলো আজ।