সেই ‘ইমাম মাহাদীর’ ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

সৌদি আরব প্রবাসী কথিত ইমাম মাহাদী দাবি করা সেই মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট সিরাজুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান

জানা গেছে, গ্রেপ্তার সিরাজুল ইসলাম একজন চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে মুস্তাকের সহযোগী হিসেবে সিরাজুল টেলিগ্রাম ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ইসলাম নিয়ে ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করছিল।

এ বিষয়ে সিটিটিসির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে রমনা থানায় করা মামলায় সিরাজুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গত আগস্টে কথিত সেই ইমাম মাহাদীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

সিটিটিসি লোগো

সিটিটিসি বলছে, সৌদি আরবে থাকা মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান দীর্ঘ দিন ধরে নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ধর্মের অপব্যাখ্যা, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করে আসছিল।

মুস্তাকের বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে সিরাজুল বায়াত (আনুগত্যের অঙ্গীকার) গ্রহণ করে। এরপর থেকে সে নিজেও মুস্তাকের ইমাম মাহাদী হওয়ার দাবি ও তার ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে অনুসারী সংগ্রহ শুরু করে। কথিত ইমাম মাহাদী দাবি করে মুস্তাক যে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে, তার ফলে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

প্রসঙ্গত, মুস্তাকের বক্তব্যে অনপ্রাণিত হয়ে সম্প্রতি তার বায়াত গ্রহণের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার সময় ১৯ জনকে আটক করে পুলিশের এই বিশেষ শাখা। তবে তারপরও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র ওমরাহ করার নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সৌদি যায় এবং কথিত সেই ইমাম মাহাদীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সিরাজুলও একাধিকবার সৌদি আরব যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাধ্যমে তাদের অপর সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে সিটিটিসি।