আকবরের পলায়নে সহায়তা: এসআই হাসান বরখাস্ত

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে যুবককে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরকে পালাতে সহায়তা ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে আরেক এসআইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। হাসান উদ্দিন নামের ওই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

এসআই আকবর ও এসআই হাসান -ফাইল ছবি

বিষয়টি আজ বুধবার নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আসরাফ উল্লাহ তাহের। তবে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া কীভাবে পালিয়েছেন বা তার অবস্থান এখন কোথায়, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয় যে, পলাতক থাকা অবস্থায় আকবরকে দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে পিবিআিই বা থানা পুলিশ বিষয়টি স্বীকার না করায় এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

ঘটনার দুদিন পর এসএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, আকবরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এরপর এসএমপি এলাকা ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হলেও ১৩ অক্টোবর রাত থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার এড়াতে আকবর পালাতে পারে- এমন সন্দেহে তাকে ধরতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চায় পুলিশ।

রায়হান আহমেদ -ফাইল ছবি

প্রসঙ্গত, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরদিন রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি গত ১২ অক্টোবর রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা করেন।

এর পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে কমিটি রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। পরে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ওই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। এদের মধ্যে ছয় জন পুলিশ লাইন্সে রয়েছে বলে জানা গেছে।