তাজরীন শ্রমিকদের পাশে শ্রমিক সংগঠনের জোট

তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাননি হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবার। এমতাবস্থায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্ষতিপূরণসহ ৩ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এবার আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে ১১টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট 'গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন'। তাদের উদ্যোগে আজ বুধবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাজরীনের শ্রমিকদের সমর্থনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেখানে শ্রমিক নেতারা বলেন, তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের আট বছর পার হয়ে গেলেও আজ অবধি হতাহত শ্রমিকরা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাননি। শুধু দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে কিছু অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু এসব দিয়ে তাদের সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।

'ক্ষতিপূরণ না পাওয়া নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত ও পঙ্গু শ্রমিকদের পরিবার বছরের পর বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। তাদের দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না।'

নিজেদের শ্রমিক বান্ধব সরকার দাবি করলেও অতীতের মতো বর্তমান সরকারও মালিক পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে মন্তব্য করে বক্তারা আরো বলেন, অবিলম্বে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

একই সঙ্গে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক দেলোয়ারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের বর্তমান সমন্বয়ক বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের নির্বাহী উপদেষ্টা শামীম ইমাম, কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির অন্যতম নেতা বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াসিন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এএইচএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দীপক রায়, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক বিপ্লব ভট্টাচার্য, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ভজন বিশ্বাস এবং আন্দোলনরত তাজরীন গার্মেন্টসের শ্রমিক জরিনা বেগম ও নাসিমা।