চালের পোকার উৎস খুঁজতে তদন্ত কমিটি

সম্প্রতি সংকট মেটাতে বেতাগী খাদ্য গুদাম থেকে ১৭০ মেট্রিকটন চাল বরগুনা খাদ্য গুদামে নিয়ে আসা হয়। বিতরণ করার সময় দেখা যায়, সব চালই অত্যন্ত নিম্নমানের, খাবার অনুপযোগী ও পোকায় খাওয়া। এর দায় কোনো পক্ষই নিচ্ছে না। তাই চালে পোকা কিভাবে আসলো তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ।

পোকায় ধরা চালের বস্তা

বেতাগী খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের গুদামের সব চালই ভালো, কোনো পোকা ছিল না। পরিবহন ঠিকাদার বলছে, গুদাম থেকে যেভাবে দেয়া হয়েছে সেভাবেই তারা বস্তা নিয়ে এসেছেন। অন্যদিকে, বরগুনা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, নিচের কিছু বস্তার চাল এমন থাকলেও বাকিগুলো ভালো আছে। তবে গুদামের শ্রমিকরা বলছেন, সকল বস্তার চালেই এমন পোকা পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, বরগুনা সদর খাদ্য গুদামে ভিজিডি, ভিজিএফ মৎস্য, জিআর ও খাদ্যবান্ধব খাতে বিতরণের জন্য আমন চালের সংকট দেখা দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে বেতাগী খাদ্যগুদাম থেকে ১৭০ মেট্রিকটন চাল আনার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা খাদ্য বিভাগ। কার্যাদেশ অনুযায়ী, মেসার্স খোকন সমাদ্দার ও মেসার্স মনিন্দ্রনাথ সরকার নামে দুটি নৌ পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওইসব চাল নৌপথে বরগুনায় নিয়ে আসে এবং সদর খাদ্যগুদামে খামালাত করা হয়।

পোকায় ধরা চাল

এ বিষয়ে চাল পরিবহনের ঠিকাদার খোকন সমাদ্দার ও মনিন্দ্রনাথ সরকার বলেন, বেতাগী খাদ্যগুদাম থেকে বস্তা মেপে চাল দেয়া হয়। তারপর আমরা সেগুলো নৌ-পথে বরগুনায় পৌঁছে দেই। বস্তার ভেতরে চাল ভালো কি মন্দ তা আমরা দেখিনি।

বরগুনা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জলিল সিকদার বলছেন, বেতাগী থেকে আনা সব চাল নষ্ট নয়। খামালের নিচে থাকায় কয়েক বস্তা চাল নষ্ট পাওয়া গেছে এবং ওইগুলো আলাদা করে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, বেতাগী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলছেন, তার গুদামের সব চালই ভালো। সেখানে কখনোই পোকায় ধরা বাজে চাল রাখা হয়নি। তাই পোকায় ধরা চাল সরবরাহ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

সকলের এমন দাবির প্রেক্ষিতে এবার বস্তার চালে পোকা কিভাবে প্রবেশ করলো তা অনুসন্ধান শুরু করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শাহাবুদ্দিন আকন্দ।