রায়হানের মায়ের অনশন ভাঙালেন মেয়র আরিফুল

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে প্রাণ হারানো রায়হানের ‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ ফাঁড়ির সামনে আমরণ অনশনে বসেছিলেন তার মা সালমা বেগম ও স্বজনরা। আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে চলা সালমা বেগমের অনশন সন্ধ্যায় ভাঙান সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

রায়হানের মা ও স্বজনদের অনশন ভাঙাচ্ছেন মেয়র আরিফুল

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই অনশন কর্মসূচিতে রায়হানের মায়ের সঙ্গে আছেন তার মামা, খালাতো ভাই, নানি এবং অন্য স্বজনরা। তবে বিকেল ৫টা নাগাদ স্থানীয়রা এ কর্মসূচিতে যোগ দিলে অনশনটি বিক্ষোভে রূপ নেয়। তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে সেখানে ছুটে যান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

পরে রায়হানের মায়ের কথা শোনেন ও সান্ত্বনা দেন মেয়র আরিফুল। পরে জুস পান করিয়ে তার অনশন ভাঙান তিনি। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেন সিলেটের এ নগর পিতা।

এর আগে দুপুরে সালমা বেগম বলেন, যে আসামিরা পুলিশ হেফাজতে আছেন, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এদের রিমান্ডে নিলে ঘটনায় জড়িত সবার নাম বেরিয়ে আসবে। প্রধান অভিযুক্ত ও ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

রায়হানের মৃত্যুর দুদিন পর সিলেট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এরপর এলাকা ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হলেও ১৩ অক্টোবর রাত থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আকবর পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে বলে গতকাল জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনশনে রায়হানের মা ও স্বজনরা

প্রসঙ্গত, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরদিন রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি গত ১২ অক্টোবর রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইনে মামলা করেন।