গণপূর্ত অধিদপ্তর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের কারণে ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছে। একের পর এক প্রকৌশলীর নামে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগের স্তূপ জমে গেছে। কিন্তু তার পরও থেমে নেই দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সিন্ডিকেট বাণিজ্য।

gk shamim arrestedবহুল আলোচিত জি কে শামীম

জানা যায়, ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এবং তার সহযোগীরা মিলে বছরের পর বছর গণপূর্ত অধিদপ্তরকে কুক্ষিগত করে রাখে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগটিতে জি কে শামীমের নেতৃত্বে গড়ে উঠে ভয়ংকর সিন্ডিকেট। যারা বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বহুল আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। গণপূর্তের সিন্ডিকেটের এই প্রধানকে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। এর পরই একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে তার সহযোগীদের নাম। এমনই প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গণপূর্ত অধিদপ্তরের তখনকার অতিরিক্ত প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলীসহ মোট ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

engineers of gk shamim syndicateমোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম সোহরাওয়ার্দী (মাঝে) এবং মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ

গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন বহুল আলোচিত জি কে শামীম। তবে অভিযোগ উঠেছে, তিনি কারাগারে থাকলেও গণপূর্তে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত সেই প্রকৌশলীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম সোহরাওয়ার্দী এবং নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহসহ অনেকেই জি কে শামীম সিন্ডেকেটের অন্যতম সদস্য। দুদকে তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা তথ্য-প্রমাণসহ একের পর এক অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া তো হয়ইনি। বরং এখনো তারা সক্রিয়ভাবেই তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তর ও দুদক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে শত শত কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাবশালী তথা বড় বড় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ বাগিয়ে দেওয়া এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের মতো নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে দুদকে তলব করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে হাজিরাও দেন তিনি। মূলত জি কে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হিসেবে মোসেলহ উদ্দিন আহমেদের নাম আসার কারণেই তাকে তলব করা হয়।

জানা যায়, মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দেন গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারদের পক্ষে সোহেল রানা নামের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। এ ছাড়া মো. বদরুদ্দীন ওমর নামের আরো একজন ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ দুদকে জমা দেন।

সর্বশেষ গেল ১৪ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির পক্ষে মো. মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকে নানা রকমের অভিযোগ দাখিল করেন।

এতে বলা হয়, গণপূর্তের সকল ঠিকাদার ব্যবসায়ী ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অধিদপ্তরের সকলে তাকে ‘ফিফটিন পার্সেন্ট’ নামে চেনেন। অর্থাৎ বর্তমানে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি ৫০ শতাংশ হারে কমিশন নিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি, তার কোনো তোয়াক্কা করেন না মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।

অভিযোগে আরো বলা হয়, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ ভবনে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি টাকা খরচ করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগও উঠে। এমনকি সংসদীয় কমিটির তদন্তেও এসব অভিযোগের প্রমাণ মেলে। কিন্তু এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এই মোসলেহ উদ্দিন কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীম সিন্ডিকেটের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, মোসলেহ উদ্দিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে সংসদ ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আলিশান বাড়ি কিনেছেন অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়। সেইসঙ্গে ঢাকা ও কুমিল্লায় তার একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল গাড়ি এবং বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়াকে প্রধান করে অষ্টম জাতীয় সংসদের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গণপূর্ত বিভাগের তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছিল ওই কমিটি। পরে কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অথচ একই তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার এবং ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট আখতার হামিদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছেন ওই তিন প্রকৌশলী। তাদেরই মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। 

জানা যায়, মোসলেহ উদ্দিন বিসিএস ১৫তম ব্যাচের প্রকৌশলী হিসেবে ১৯৯৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। এরপর ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান এবং শেরেবাংলা নগর এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া সমন্বয় বিভাগে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং চট্টগাম জোনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোসলেহ উদ্দিন। তিনি যেসব জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন তার সব জায়গায়ই কমবেশি দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, গত ১২ জানুয়ারি গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিনকে তলবি নোটিশ পাঠায় দুদক। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত সেই নোটিশে উল্লিখিত নানা অভিযোগের কথা বলা হয়। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজিরা দেন প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন। ওই সময় দুদকের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক দুই প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং মো. সাহাদত হোসেনের হাত ধরেই সেখানে জি কে শামীম সিন্ডিকেটের উত্থান হয়। মো. রফিকুল ইসলাম যখন অবিভক্ত ঢাকা গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সে সময় জি কে শামীম সিন্ডিকেট তার মাধ্যমেই ঢাকার গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। গণপূর্তের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে যোগ দেওয়ার পর পরই রফিকুল ইসলাম নিজের স্টাফ অফিসার (নিবার্হী প্রকৌশলী) হিসেবে একেএম সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে আসেন। এর পর রফিকুল ইসলাম যখন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান, তখনই শুরু হয়ে যায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের মহোৎসব। অভিযোগ রয়েছে নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার, সরবরাহ, পদোন্নতি সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে এই সিন্ডিকেট।

অন্যদিকে, জি কে শামীম সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় পদোন্নতি পেয়ে গণপূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ ঢাকা সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব পান একেএম সোহরাওয়ার্দী। প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি যখন অবসরে যান, তখন একই সিন্ডিকেটের সহায়তায় প্রধান প্রকৌশলীর পদে বসেন মো. সাহাদত হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান প্রকৌশলী সাহাদত হোসেনের সহযোগিতায় ঢাকার গণপূর্তের বিভিন্ন ডিভিশনে তার অনুগত নিবার্হী প্রকৌশলীদের পদায়ন, সিন্ডিকেটের টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন একেএম সোহরাওয়ার্দী। জি কে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুদক গণপূর্তের যে প্রকৌশলীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, তাদের অন্যতম এই একেএম সোহরাওয়ার্দী।

জানা যায়, দুদক ২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর একেএম সোহরাওয়ার্দীকে তলবি নোটিশ পাঠায়। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত সেই নোটিশ অনুযায়ী গত ১২ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজিরা দেন সোহরাওয়ার্দী।

উল্লিখিতরা ছাড়াও গণপূর্তে জি কে শামীম সিন্ডিকেটের আরেক প্রভাবশালী সদস্য হলেন মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ। তিনি নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। অভিযোগ রয়েছে, ২৪তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই তৎকালীন এক মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে গণপূর্তে নিজের প্রভাব বিস্তার শুরু করেন।

এক পর্যায়ে উল্লিখিত রফিকুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ এবং একেএম সোহরাওয়ার্দীর মাধ্যমে জি কে শামীম সিন্ডিকেটে ঢুকে পড়েন শওকত উল্লাহ। এর পর বিগত ১০ বছর ধরে সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে একাধারে কর্মরত আছেন তিনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে জি কে শামীমের টেন্ডার অনুমোদনে সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে।

র্যা বের হাতে জি কে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর অন্যদের মতো মোহাম্মদ শওকত উল্লাহকেও তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন একই ধরনের নোটিশে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ১১ জন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন। তার একজন হলেন শওকত উল্লাহ।

প্রসঙ্গত, জি কে শামীম গ্রেপ্তার করার পর দুদক গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার ও সহযোগীদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল অনুসন্ধান শুরু করে। এক পর্যায়ে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন গত ২১ অক্টোবর ঠিকাদার জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে, একটি জাতীয় দৈনিকের পক্ষ থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা অভিযোগ এবং চলমান তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এসব বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবেন না। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

অন্যদিকে, উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এ সময় কারো ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে, আবার কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.