তারপরও মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ইসরায়েল

অনেক আগে থেকেই ইরান ও দেশটি সমর্থিত বিভিন্ন দেশের সংগঠনগুলো বলে আসছে, বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরায়েল মুছে যাবে। একই ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে আসছে তেল আবিবকে স্বীকৃতি না দেয়া ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোও। এবার একই কথা বললেন ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও।

ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি

সম্প্রতি কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে চুক্তি করে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি উল্লেখ করে ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি বলেছেন, তারপরও বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ইসরায়েল।

ইসরায়েল জবরদখল করা ফিলিস্তিনি ভূমিতে যেসব স্থাপনা তৈরি করছে, সেগুলো এক সময় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হাতে চলে আসবে, বলেন মালিকি। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন হবে এবং তারা তাদের ভূমি ফিরে পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইসরায়েল-আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্থাপনকে ‘প্রতিযোগিতা’ হিসেবে দেখছেন ইসলামি দাওয়া পার্টির মহাসচিব নূরি আল-মালিকি। তিনি বলেন, কতিপয় আরব শাসক ক্ষমতা ধরে রাখতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে।

আমিরাতের প্রিন্স নাহিয়ান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশকে ইসরায়েলিরা ‘ক্রীতদাসে পরিণত করতে চায়’ বলে মনে করেন শিয়া মতাবলম্বী মালিকি। তিনি বলেন, শিয়া-প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির তেল আবিবের স্বপ্ন কোনো দিনও পূরণ হবে না।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর একই ধরনের ঘোষণা দেয় বাহরাইন, তারও পরে সুদানও একই ধরনের কথা জানায়। এসবের পেছনে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।