রাজধানীর আইসিইউতে বাড়ছে করোনা রোগী

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রোগী ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকার চিত্র ভিন্ন। আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে রোগী আছে ১৪টিতে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০টি বেডের ১০টিতেই রোগী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ১৭টিতে, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ১২টিতে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫টির মধ্যে রোগী আছে ১২টিতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ৮টিতে।

শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ৭টিতে, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ৬ জন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতলের ৬টি বেডের ৪টিতে রোগী আছে, আজগর আলী হাসপাতালের ৩৬টি বেডের ২০টিতে রোগী আছে, স্কয়ার হাসপাতালের ২৫টি বেডের ১৮টিতে রোগী আছে, ইবনে সিনা হাসপাতালের ৬টি বেডের ৬টিতেই রোগী, ইউনাইটেড হাসপাতালের ২২টির মধ্যে রোগী আছে ১২টিতে।

এ ছাড়া এভার কেয়ার হাসপাতালের ২০টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ১৮ জন, ইম্পালস হাসপাতালের ৫৬টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ৮ জন, এ এম জেড হাসপাতালের ১০টি বেডের মধ্যে রোগী আছে ৭ জন এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতেই রোগী আছে।

সবমিলিয়ে রাজধানীতে মোট ৩১৪টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে রোগী আছেন ১৯১ জন। আর ফাঁকা রয়েছে ১২৩টি বেড। তবে ঢাকার বাইরে ভিন্ন চিত্র। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে থাকা ৫৬৪টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মাত্র ১৭৩টিতে রোগী ভর্তি আছে। বাকি ২৯১টি বেড ফাঁকা রয়েছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ধীরে ধীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়তে থাকে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের উপরে চলে যায়। এরপর থেকে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে। বর্তমানে এই হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে।