আপনি পড়ছেন

প্রায় তিন দশক ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে আসছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। যদিও উভয় দেশের মধ্যে পার্থক্য এখনো বিশাল। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বাজারে এখনো মার্কিন ডলারের প্রাধান্য বেশি। সেই তুলনায় চীনা মুদ্রা খুব কম দেশেই ব্যবহার হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। বহির্বিশ্বে চীন তাদের মুদ্রার ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

joe biden with china presidentচীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পুরনো ছবি

এমন অবস্থার মধ্যেই চীনে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এরপর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলশ্রুতিতে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, চীনারা ইচ্ছা করেই ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে তার অধিকাংশ বক্তব্যেই চীনের বিরুদ্ধে দোষারোপ করা হয়েছে। এমনকি আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোরও হুমকি দেয়া হয়। যদিও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে।

এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবারও বেড়ে গেছে। বেইজিংয়ের অভিযোগ, ওয়াশিংটন তাদের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীন সব সময় তাদের অঙ্গরাজ্য বলে দাবি করে আসছে। আর সেই তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

us china flag

অন্যদিকে, ওয়াশিংটনের বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত ভারতের সঙ্গেও গত কয়েক মাস ধরে চীনের সংঘাত লেগে আছে। লাদাখ সীমান্তে এখনো প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সবমিলিয়ে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ভারতসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে একত্র করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যে অক্টোবরের শেষ দিকে পাঁচ দিনের এশিয়া সফর করে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার (বর্তমানে বরখাস্ত)। এর মধ্যেই গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয় ঘটেছে।

নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। আগামী জানুয়ারি থেকে তার ক্ষমতা গ্রহণ করার কথা রয়েছে। তখন বাইডেনের চীন নীতি কী হবে, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তবে অধিকাংশেরই ধারণা, চীনের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের থেকেও আরো বেশি কঠোর হতে পারে নতুন সরকার।

যদিও নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। তবে নির্বাচনী প্রচারণাকালে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অভিযোগ করে বলেছিলেন, চীন অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই অনুযায়ী তেমন কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.