ফখরুল: ফুটেজ হলে বিদেশে থাকারা কীভাবে আসামি?

রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে তারপরই মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি করা হলে চিকিৎসাধীন কিংবা বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের নাম কীভাবে সেই তালিকায় এলো?

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের ভাষ্যমতে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি করা হয়েছে। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অসুস্থ, আহত, চিকিৎসাধীন কিংবা ঢাকার বাইরে ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের আসামি করা হলো কিসের ভিত্তিতে?

তিনি বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়ালের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। আর সেই ঘটনার দায় বিএনপির ওপর জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। বাসাবাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুরসহ অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।

সম্প্রতি রাজধানীতে অন্তত ১১টি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যখন নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে, তখন সরকার স্বভাবসুলভভাবে মিথ্যাচার ও নাটক সাজিয়ে আবারও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন- সরকার বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নাকি মামলা হয়েছে। অথচ একটি মামলার বাদী হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তিনি নিজেই অস্বীকার করেছেন যে, সে ওই মামলা দায়ের করেননি।

অন্যদিকে, করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে হাসপাতালে বা বাসায় দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসাধীন, কোয়ারেন্টাইন কিংবা আইসোলেশনে থাকা এমনকি দুই বছর যাবত পঙ্গুত্ব বরণকারী নেতাদের বিরুদ্ধেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফ্যাসিবাদী সরকারের এই অপতৎপরতা, যোগ করেন তিনি।

বিবৃতিতে বিএনপি ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিমকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ ও গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।