সাংসদ: ধর্ষণের সঙ্গে নারীদের টি-শার্ট পরার সম্পর্ক আছে

অবশ্যই ধর্ষণের সঙ্গে নারীদের টি-শার্ট পরে রাস্তায় বের হওয়ার সম্পর্ক আছে বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু। দেশীয় এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ধর্ষণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই সাংসদ তার বক্তব্যে বলেছিলেন, দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে এবং এর জন্যে দায়ী নারীবাদীরা। একই সঙ্গে মরহুম মাওলানা আহমদ শফীর ‘তেঁতুল তত্ত্বের’ও বাস্তবায়ন চেয়েছেন।

গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেছিলেন এবং সেটা ধীরে ধীরে নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পরিণত হয়েছে। নারীদের অধিকার আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের একটি সুনির্দিষ্ট কৃষ্টি-সংস্কৃতি আছে জানিয়ে মো. রেজাউল করিম বাবলু বলেন, সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়েছে এবং এটাকে আমরা সবাই সময়োপযোগী ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেছি। দেশে সামাজিক নীতি আছে। নারীবাদী বলতে যা বুঝিয়েছি সেটি কেউ ব্যক্তিগতভাবে বা সাংগঠনিকভাবে আমলে নিলে হবে না।

ধর্মীয় অনুশাসনকে প্রাধান্য না দেয়া বা সরকারের নীতিমালার বাইরে যাওয়ার কথা বলেছি, যেমন- রাস্তাঘাটে বের হওয়ার সময় সাবলীল পোশাক না পরা, গেঞ্জি পরে চলাফেরা করার কথা বুঝিয়েছি, যোগ করেন তিনি।

একজন যুবতী নারী যদি গেঞ্জি পরে রাস্তায় চলাফেরা করে, তাহলে সেটা বাংলাদেশের আইন-বিরুদ্ধ কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে এই সাংসদ বলেন, আইন এবং সামাজিক নিয়ম দুটো আলাদা বিষয়। আল্লাহ যেহেতু সৃষ্টিগতভাবেই নারী ও পুরুষের মাঝে আকর্ষণের সৃষ্টি করেছেন, সেহেতু অবশ্যই ধর্ষণের সঙ্গে টি-শার্ট পরে রাস্তায় বের হওয়ার সম্পর্ক আছে। কোনো যৌবনপ্রাপ্ত নারী অশালীন পোশাকে রাস্তায় চলাফেরা করলে কু-রুচিসম্পন্ন মানুষ তাদেরকে কু-দৃষ্টিতে দেখবে, এটাই স্বাভাবিক।