প্রধানমন্ত্রী: ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করে সশস্ত্র বাহিনী

করোনা মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অতীতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এখন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে সম্মুখসারির যোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে লকডাউন বাস্তবায়ন, জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে সশস্ত্রবাহিনী। বিদেশ ফেরতদের জন্য কোয়ারেন্টাইন স্থাপন ও পরিচালনা করছে।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সমন্বিত করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনাকালে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছে সেনাবাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

এ সময় করোনা সামলাতে নৌবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মালদ্বীপে সরকারি চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা ও অসহায়-দুস্থদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী।

বিমানবাহিনীর বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে করোনা আক্রান্ত জনপ্রতিনিধি ও চিকিৎসকসহ অনেক রোগী হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করেছে। আটকে পড়াদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে ১৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

ভাষণে করোনায় মারা যাওয়াদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর আক্রান্ত সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন, মৃতদের জন্য দোয়া করেন তিনি।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিন বাহিনীর প্রধান। তারা হলেন- সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।