বাংলা চ্যানেলে প্রথম হলেন ১৩ বছরের রাব্বি

বঙ্গোপসাগরে সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে প্রথম হয়েছে ১৩ বছরের কিশোর রাব্বি রহমান। এক সঙ্গে ৪৩ জন সাঁতারু এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন এবং পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছেন ৪০ জন। যার মধ্যে একজন বিদেশি, দুই জন নারী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাও অংশ নিয়েছেন।

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারুরা

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন তারা। মাঝপথে গিয়ে তিন জন থেমে যান।

আয়োজক ও দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সবার আগে দ্বীপে পৌঁছায় রাব্বি রহমান। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে তার সময় লেগেছে মাত্র ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। দ্বিতীয় হয়েছেন সাইফুল ইসলাম রাসেল। তিনি সময় নিয়েছেন ৩ ঘণ্টা ২১ মিনিট। আর তৃতীয় হওয়া সোজা মোল্লা সময় নিয়েছেন ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বিকেল ৫টার পর সর্বশেষ সাঁতারু হিসেবে দ্বীপে পৌঁছান ৬৮ বছর বয়সী ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য।

প্রথম হতে পেরে রাব্বি রহমান বলেন, যে কোনো মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জয়ের স্বাদ নেয়ার টার্গেটে অংশ নিয়েছি। আল্লাহ সেই আশা পূরণ করায় এখন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছি। অংশ নিতে চাই আরো বড় ধরনের অ্যাডভেঞ্চারে।

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারুরা

১৫তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সহ-আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সবকিছু হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করেন এবং নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকের সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা থাকে। এ ছাড়া যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে কোস্টগার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরি নৌকা ও ডুবুরি দলও সঙ্গে ছিল।

এবারের মূল আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। তাদের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও পর্যটন বোর্ড এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফরচুন গ্রুপ, পৃষ্ঠপোষক ভিসা থিং ও এনসিসি ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো এটি পাড়ি দিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।