ইইউ: ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ড ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’

ইরানি শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েল সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ইরান। এ ঘটনাকে ‘অপরাধমূলক তৎপরতা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ ও ফাখরিজাদে

ফাখরিজাদে নিহতের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ আখ্যায়িত করেছেন ইইউর একজন সংসদ সদস্য। আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, মিথ্যা অজুহাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে ইসরায়েল। উদ্দেশ্য, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যাতে ক্ষমতায় এসে ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়াতে না পারেন।

পার্সটুডের খবরে ইইউ সংসদ সদস্যের এ মন্তব্যকে জোটের অবস্থান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকার দেয়া ওই নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। মার্কিন সূত্রগুলো বলছে, বিদায়ের আগ-মুহূর্তে ট্রাম্পের মদদে ইসরায়েলি তৎপরতার কারণে ক্ষমতায় এসে ইরান ইস্যুতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বাইডেন।

এর আগে ফাখরিজাদে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, কাতার, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। তবে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি-গোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী ইইউর প্রতিক্রিয়া এলো আজ মঙ্গলবার।

এদিকে, ফাখরিজাদের হত্যার পর আজ মঙ্গলবার ২০ মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের একটি আইন পাস করেছে ইরানের জাতীয় সংসদ। তাতে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী পক্ষগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে একমাস সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা ব্যর্থ হলে স্বপ্রণোদিত সকল প্রটোকল বাস্তবায়ন থেকে সরে আসবে তেহরান।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইরানের রাজধানী তেহরানের অদূরে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ শহরের একটি সড়কে ফাখরিজাদেকে বহনকারী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান গতকাল সোমবার জানান, স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইসের মাধ্যমে গুলিবৃষ্টি করে ফাখরিজাদেকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় বজ্রের মতো প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরানি শীর্ষ নেতা ও সামরিক কর্মকর্তারা।