৭১-এ গণহত্যা: ঢাকা দাবি তুললে সমর্থন দেবে দিল্লি

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে দেশটির ক্ষমা চাওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে। ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবি জানালে তাতে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত।

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি, ফাইল ছবি

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন। যুদ্ধকালীন নৃশংসতার জন্য দেশটিকে কোনোদিন ক্ষমা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুকন্যার এই অনুভূতিকে গভীরভাবে মর্যাদা দেয়ার কথা ভাবছে ভারত। এই ইস্যুতে নয়া দিল্লির অবস্থান প্রথমবারের মতো স্পষ্ট করা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, ২০২১ সালের প্রথম দিন থেকেই আগামী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ অস্থায়ী সদস্য হচ্ছে ভারত। এই সময়ের মধ্যে সংস্থাটির ফোরামে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার দাবি ঢাকা তুললে তাতে জোর সমর্থন দেবে দিল্লি।

শেখ হাসিনা ও ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী

ক্ষমার পাশাপাশি পাকিস্তানের নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতির দাবি জানানো হলে তাও সমর্থন করার কথা জানিয়েছে ভারতীয় সূত্র। তবে দাবিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলতে হবে ঢাকাকেই।

কয়েক দিন আগে দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব স্মিতা পন্ত। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক এই কূটনীতিক জানান, একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় মদতে নিপীড়ন চালিয়েছে পাকিস্তান। তাতে ৩০ লাখের বেশি মানুষ নিহত, দুই লাখের বেশি নারী নির্যাতিতা হন।

স্মিতা পন্ত

এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে স্মিতা পন্ত আরো বলেন, তার অনুভূতি আমরা অনুধাবন করি, গভীরভাবে সম্মান করি। বাংলাদেশের এই ন্যায়সঙ্গত অনুভূতিকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

এ বিষয়ে ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা হরি কৃষ্ণ বলছেন, এত মানুষকে হত্যা করেও পার পেয়েছে পাকিস্তানি বাহিনীর কর্মকর্তারা। এ জন্য তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো খুব জরুরি। পঞ্চাশ বছর পরে হলেও বাংলাদেশ ও ভারত মিলে এর উদ্যোগ নিলে তা সফল হতে পারে।