ভারতের ৪ রাজ্যে টিকার ড্রাই রান শিগগিরই

প্রতিবেশী ভারতের চারটি রাজ্যে আগামী সোম ও মঙ্গলবার থেকে করোনার টিকার ড্রাই রান শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাজ্যগুলো হল- গুজরাট, আসাম, অন্ধ্র ও উত্তরপ্রদেশ।

করোনার টিকা প্রয়োগ

ড্রাই রানের উদ্দেশ্য হচ্ছে- করোনার টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সব ঠিক আছে কি না- তা পরীক্ষা করা। ভারতের চার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় দুই দিন ধরে এ ট্রায়াল চলবে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ড্রাই রান কার্যক্রমের জন্য ২ হাজার ৭৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলাগুলোতে সব মিলিয়ে ৭ হাজার ট্রেইনি কাজ করবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয়ভাবে করোনার টিকা ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয় দেখভাল করবেন এসব স্বেচ্ছাসেবক ও ট্রেইনিরা। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দিবেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের করোনা টিকা অনুমোদন দিতে যাচ্ছে ভারত। আগামী সপ্তাহেই এর জরুরি প্রয়োগ শুরু হতে পারে। ভাইরাসটির নতুন স্ট্রেইন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

অক্সফোর্ডের করোনা টিকা

এমনটি হলে ব্রিটেনের করোনার টিকা ব্যবহারকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হবে ভারত। একই সঙ্গে দেশটি মহামারি মোকাবেলায় আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ এখন পর্যন্ত ৩টি টিকার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।

এর আগে দেশটির গণমাধ্যম জানায়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য করোনার বেশ কয়েকটি টিকা অনুমোদন দেবে ভারত। আসছে নতুন বছরের জানুয়ারিতেই এসব টিকার প্রয়োগ শুরু হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানায়, এরই মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের টিকা অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে আরো ৬টি টিকা।

ভারতের মানচিত্র

আবেদন করা দুটি টিকা হচ্ছে- যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ‘কোভিশিল্ড’ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’।

অন্য ৬টির নাম উল্লেখ করা হয়নি খবরে। তবে বলা হয়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা এসব টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই শেষেই অনুমোদন দেয়া হবে।

কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৩০ কোটি ভারতীয়কে করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুরুতে ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে দেয়ার পর পুলিশ সদস্য, সেনা সদস্য, পৌরসভা ও সম্মুখসারির কর্মীরা পাবে টিকা।

তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে থাকা পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে। এ কর্মসূচি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলবে আগস্ট পর্যন্ত। প্রতি বছর ৪০ কোটি নবজাতক ও প্রসূতি মাকে ১২টি রোগের টিকা দিয়ে আসছে দেশটি, যা বিশ্বে বৃহত্তম টিকাদানকারী দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে।