পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর গত সোমবার এক আদেশে এ সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছে। এর ফলে নতুন বছরের শুরুতে অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হবে।

ভারতীয় পেঁয়াজ

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দেশটিতে গত কয়েক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেকটা কমে গেছে। এ কারণে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানি নীতি সংশোধন করেছে এবং রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের পেঁয়াজের ক্ষেত্রে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি করছে সরকার

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। সে সময় যুক্তি হিসেবে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কথা বলা হয়।

ভারত সরকারের ওই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, এক পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হয় ১৩০ টাকায়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার আগের বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, মিশর ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। সেইসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পেঁয়াজ আমদানিতে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়।

পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে খোলাবাজার ও অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে সরকার।

প্রসঙ্গত, ভারত এমন সময় পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো, যখন নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দেশের বাজারেও দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। তবে ব্যবসায়ী মনে করছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ এলে দাম আবারো স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাবে।