এখনই কি বাংলাদেশে দেওয়া যাবে অক্সফোর্ডের টিকা?
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তাও সেটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দেশে আসবে। সেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এমন অবস্থার মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এই প্রতিষেধক দেশে চলে আসবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটেন যেহেতু অনুমোদন দিয়েছে, সেহেতু বাংলাদেশেও টিকাটি প্রয়োগ করা যাবে, যদিও এদেশের মানুষের শরীরে এটির পরীক্ষা চালানো হয়নি।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন
কিন্তু আসলেই কী এত দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ভ্যাকসিন আসা সম্ভব? এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানাজনের মুখে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পেতে গত নভেম্বরেই ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সরকার। দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর মাধ্যমে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুসারে ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা বাংলাদেশেও সরবরাহ করা হবে।
মূলত সেরাম ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে ভারতে বর্তমানে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তারা সেখানে এই ভ্যাকসিন উৎপাদনও করবে। ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। আর এখন তো যুক্তরাজ্যেও এটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাই শিগগিরই ভারতেও পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ সরকার এত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
এ বিষয়ে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবো বলে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু এখন এটি জানুয়ারির মাঝামাঝিতেই পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া মোটামুটি শেষ পর্যায়ে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে অনুমোদন দিয়ে দেয়ায় এখন ভারত সরকারও এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে দেবে বলে আশা করছি।
এখন কথা হলো, অক্সফোর্ডের এই টিকা দ্রুত পাওয়া গেলেও কি এখনই বাংলাদেশের মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করা যাবে? কারণ এদেশের মানুষের দেহে এর ট্রায়াল চালানো হয়নি।
এ বিষয়ে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকারের পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষকেও ভ্যাকসিনটি দেয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে দেশে আলাদাভাবে পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করি।
অবশ্য নতুন কোনো ভ্যাকসিন দিতে গেলে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একটা অনুমতি লাগে। কিন্তু এখানেও শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন থাকলে বাংলাদেশে আলাদাভাবে অনুমতির দরকার হবে না। আবার যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের সাতটি দেশের কোনো একটিতে অনুমোদন পেলেও বাংলাদেশে ব্যবহার করা যাবে।
এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, প্রতিবেশী দেশের মানুষে মানুষে মিল থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের ধরন প্রায় একই। সুতরাং বাংলাদেশে পরীক্ষা না করে টিকা দেওয়া হলে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, যুক্তরাজ্য তাদের জনগণের ওপর পরীক্ষার পর এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা অবশ্য সেটা বলব না। তবে ভারতে যদি এই টিকায় কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশেও সমস্যা হবে না।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.