টিকা রপ্তানি নিষিদ্ধ ভারতের, যা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারত সরকার হঠাৎ করে এই মুহূর্তে টিকা রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশে এক প্রকার ‘উদ্বেগ’ তৈরি হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

জানা গেছে, ভারত সরকার এখনই অক্সফোর্ডের টিকা রপ্তানি না করতে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আগামী কয়েক মাস প্রতিষ্ঠানটি টিকা রপ্তানির অনুমোদন পাচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য দায়ত্বিশীল ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন যে, তারা আশা করছেন, চলতি জানুয়ারি মাসেই সেরামের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে চলে আসবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ

কিন্তু ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের বহু নাগরিকই হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ফলে নাগাদ এখন কবে ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই খবরটি তিনি জানতেন না, বরং বাংলাদেশের গণমাধ্যম সূত্রেই তিনি সংবাদ পেয়েছেন। ‘(ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানিতে) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা সাংবাদিকদের কাছ থেকেই জানতে পারি’।

তিনি বলেন, সংবাদটি শোনার পর পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে, তারাও এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে, তারাও তা জানার চেষ্টা করছে।

বিষয়টি নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছি বলেও জানান ড. মোমেন।

অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, ‘নিষেধাজ্ঞা যদি ভারত দেয়ও, তাহলেও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে, সে কারণে টিকা পেতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা পাওয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার। এ নিয়ে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি করে সরকার। এমনকি গতকাল রোববার টিকা কেনা বাবদ ৬০০ কোটি ডলার দেওয়ার খবরও শোনা যায়। কিন্তু সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে যখন টিকা গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তখন এমন সংবাদ দিলো ভারত সরকার।