বাড়লো প্রকল্প ব্যয়, টিকার জন্য ৪২৩৬ কোটি টাকা

করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রকল্পটির ব্যয় বাড়িয়ে প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে টিকা আমদানির জন্য ৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সরঞ্জামে বরাদ্দ হয়েছে আরো ১ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালের জুনে প্রথম অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটির কাজ ২০২৩ সালের জুনে শেষ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনা টিকা ও সরকারের লোগো

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক ভার্চ্যুয়াল সভায় সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, প্রথম সংশোধিত এ প্রকল্পের আওতায় করোনা টিকা ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা হবে। গত জুনে এটি অনুমোদনের সময় টিকা আমদানির বিষয়টি না থাকায় তা এখন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

টিকা আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‘চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাওয়া যাবে, আমরা টিকা পাব বলে বিশ্বাস করি।’ একনেক সভা শেষে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, যে প্রক্রিয়াই হোক না কেন, আমরা টিকা পাব।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ধরা হলেও তা বেড়ে এখন ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবির ৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা ঋণ এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বাকি ১৭২ কোটি টাকা দেয়া হবে।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা কোভিশিল্ড নাম দিয়ে ভারতে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গতকাল সোমবার এটি অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার।

করোনার টিকা, বেক্সিমকো ও সেরামের লোগো

গতকাল এমন খবর প্রকাশের পর টিকা পেতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি থাকায় বাংলাদেশে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে টিকার আমদানিকারক বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জানানো হয়, যথাসময়ে টিকা পাওয়া যাবে।

এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় আজ মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় সেরাম প্রধান পুনাওয়ালা বলেন, দুটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। একটি হচ্ছে, সব দেশেই টিকা রপ্তানির অনুমতি রয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে শিগগিরই একটি বিবৃতি দেয়া হবে।