কাদের: সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এদেশের উন্নয়ন ও ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ। তবে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের সে বিষদাঁত আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ শনিবার দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় আলোয় ঝলমল করছে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ সেই উন্নয়ন ও ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের সে বিষদাঁত ভেঙে গেছে।

ছাত্র রাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখনো তরুণদের যারা পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, নেতিবাচক এসব কর্মকাণ্ড থেকে তাদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাবো।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লোগো

ওবায়দুল কাদের বলেন, লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে জাতি আজ মুক্ত হয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবা খাতের চিত্র। মানুষ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ-সুবিধা এখন বিশ্বমানের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে তরুণ প্রজন্ম। প্রযুক্তি যেমন নানা পরিবর্তন এনেছে, তেমনি এর নানা ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার যেমন গড়ে তুলতে হবে, তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তরুণদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান এই বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের সৃষ্ট সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এবং নিজেদের উন্নতমানের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদারের পাশাপাশি ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে রাষ্ট্র বিনির্মাণে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। তাই মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে রাজনীতি। সেজন্য চরিত্রবানদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক। এতে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।