মহাসচিব: নীরবে বসে থাকবে না হেফাজত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায় উল্লেখ করে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, বার বার আঘাত আসলে নীরব থাকবেন না তারা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন হেফাজত মহাসচিব

সম্প্রতি কক্সবাজার, ফটিকছড়ি ও কুমিল্লায় মাদরাসায় হামলা নিয়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের মাখজানুল উলুম মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে মাদরাসা ও আলেমদের ওপর হামলা বন্ধ করা না হলে ওলামায়ে কেরাম, ছাত্র সমাজ ও হেফাজতে ইসলাম নাক-কান বন্ধ করে থাকবে না বলে সতর্ক করা হয়।

এসব আক্রমণের মধ্য দিয়ে আইন হাতে তুলে নেয়া হয়েছে মন্তব্য করে হেফাজত মহাসচিব বলেন, কেউ বলছেন না তারা কেন এটা করলো? তারা এমনটি করার কে, সরকারের কাছে জানতে চাই। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

প্রত্যেকের ভেতরে জজবা ও ক্ষোভ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তা প্রকাশ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। আমরা আন্দোলন করব, সরকারকে জানাব-বোঝাব। তবে আইন হাতে তুলে নেব না। মহান আল্লাহ সবাইকে শুভবুদ্ধি দান করুন।

হেফাজত মহাসচিব মাওলানা জিহাদী

হেফাজত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলাম-বিরোধী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য, সরকার-বিরোধী বা নির্বাচনমুখী সংগঠন নয় এটি- এমনটা উল্লেখ করে মাওলানা জিহাদী জানান, কওমি মাদরাসার ক্ষতি করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

কওমি মাদরাসার উন্নতি, মানুষের আগ্রহ ও শ্রদ্ধাবোধ থাকায় এখানকার আলেম ও ছাত্রদের চারিত্রিক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এটি দেশবাসী, মুসলমান ও দানশীলদের মাদরাসা থেকে দূরে সরানোর চক্রান্ত বলে মনে করে হেফাজত।

কওমি মাদ্রাসায় দান করা সাধারণ মানুষের হেদায়েতের জন্য বছরে একবার ওয়াজ মাহফিল করা হয় জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, ইদানীং বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেয়ার দুঃসংবাদ আসছে। কিছু বক্তার নামের তালিকা করা হচ্ছে, কিন্তু কেন?

হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শফী ও বর্তমান আমির আল্লামা বাবুনগরী

কোরআন-হাদিসের আলোচনা সরকার-বিরোধী বা রাষ্ট্র-বিরোধী মনে হলে কিছু করার নেই উল্লেখ করে মাওলানা জিহাদী বলেন, দোষী বক্তাদের বক্তব্য ধরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। তা না করে ঢালাওভাবে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা হচ্ছে কেন?

হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ৩ মাস পরে এসে সংগঠনটির শীর্ষ নেতারাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ সময় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ঢাকা মহানগরের আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।