তুর্কি রাষ্ট্রদূত: বাংলাদেশ হবে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এবং চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে রোববার দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।

সমগ্র বিশ্ব যখন করোনার মহামারির কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে, তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য- যা অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চট্টগ্রাম বন্দর

তুর্কি দূত বলেন, সম্প্রতি ঢাকা ও আঙ্কারায় দুই দেশের নতুন দূতাবাস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যা পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে বেশি প্রাধান্য পেতে যাচ্ছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি।

এ সময় মুস্তাফা ওসমান তুরান জানান, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সঙ্গে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনলাইন বিটুবি সভা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই বিটুবি সভায় অংশ নিতে চিটাগাং চেম্বারকে আহ্বানও জানান তিনি।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর

মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার আরো সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দুই বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রার যে কথা বলেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এক্ষেত্রে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার যেসব প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তা কাজে লাগিয়ে তুরস্কের ব্যবসায়ীরা মিরসরাইসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হলে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর হবে এবং তা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি।