দুর্নীতি মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন

কারাবন্দি জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এক মামলায় চার্জগঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ আদেশ দেন।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি চলে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীর বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি হয়।

এদিন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাঈদীর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। তা নাকচ করে দিয়ে চার্জগঠনের আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

মাওলানা সাঈদীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে দোষী না নির্দোষ, জানতে চান বিচারক। এ সময় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব সাঈদী।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

এর আগে গত সোমবার মামলার শুনানির জন্য নিজ খরচে প্রিজনভ্যানের পরিবর্তে মাইক্রোবাসে আদালতে যাতায়াতের অনুমতি দেন আদালত। ওইদিন মামলার বাদী দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠন শুনানির আর্জি জানানো হলে এদিন ধার্য করা হয়।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন শুধু দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। পলাতক রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল হক। এ ছাড়া বাকি তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের ২৪ মে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী।