১৭ হাজার পেল ‘সোনার হরিণ’, হারালো ৩৯৬ জন

এবারের এইচএসসি ও সমমানের বিশেষ মূল্যায়িত ফলাফলে ১৭ হাজার ৪৩ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। যারা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এই ‘সোনার হরিণের’ দেখা পাননি। আবার এই দুটিতে জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসিতে পাননি ৩৯৬ জন।

গোলোবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উল্লাস

আজ শনিবার প্রকাশিত ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। করোনার কারণে পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফল মূল্যায়ন করে এবার এইচএসসি ও সমমান ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এই ফল তৈরিতে জিপিএ-৫-এর ক্ষেত্রে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ করা হয়েছে। এতে জেএসসি-এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাননি ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী। মূলত জিপিএ-৫-এর জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর না থাকায় এটি থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বশি হচ্ছেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি জানান, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবার তা পেয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।

পরিসংখ্যান বলছে, জেএসসি-এসএসসিতে না পাওয়া ৮ হাজার ৫৭০ জন ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪ হাজার ১৫৭ জন।

এ ছাড়া জেএসসি-এসএসসিতে পেয়েও গেলোবার এইচএসসিতে ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন জিপিএ-৫ পায়নি। ২০১৮ সালে এদের সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৬৩৪ জন।

ফল প্রকাশের অনুষ্ঠান

রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিস্তারিত জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি।

এ বছর বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করার ফলে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর হার ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

গতবছর ৪৭ হাজার ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সে অনুযায়ী, জিপিএ-৫-এর হার ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সে হিসাবে গেলোবারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৩ গুণেরও বেশি। গতবছর গড় পাস ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।