আইনমন্ত্রী: শিশুকালেই বঙ্গবন্ধুর মানবিক গুণাবলীর পরিস্ফুটন ঘটে

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিশু বয়সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে পরোপকারী ও মানবিক গুণাবলীর পরিস্ফুটন ঘটে। এমন কোনো নজির নেই যে, কোনো অসহায় লোক তার কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে পায়নি। মানুষের দুঃখ-কষ্টে আমৃত্যু তার মন কেঁদেছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার শীর্ষক এক রচনা প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আজ শনিবার এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশব্যাপী এ রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ৫২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। যারাই বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, আইনের আওতায় এনে তাদেরই বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের প্রতি সম্মান জানান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে মানবাধিকারকে ঘোষণা করেন।

আনিসুল হক বলেন, স্বাধিকার, সুশাসন আর বৈষম্য বিলুপ্তির মাধ্যমে দরিদ্রতা দূর করাই হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল চেতনা। আজকের পৃথিবীতেও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাস ও দরিদ্রতা দূরীকরণ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের সন্ত্রাস ও দরিদ্রতা মোকাবেলা ও দূরীকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস ও দরিদ্রতা দূরীকরণের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত ও দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, মানবাধিকারের একটি অংশ হলো বিচারপ্রাপ্তির অধিকার। সুতরাং জনগণ যাতে বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য সরকার সদা সচেষ্ট। এরই অংশ হিসেবে দেশে করোনার মহামারি শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই বিচার কার্যক্রমকে অনলাইনের আওতায় আনতে জাতীয় সংসদে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ প্রণয়ন করা হয়। এর ফলে দেশে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ খুব বেশি ছিল, তখনও সকল আদালত বিচার কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের আন্তরিকতার কারণেই দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দেশের মাটিতে হয়েছে। তিন তিনবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।