হাইকোর্ট: দুদককে ''দন্তহীন বাঘ'' হলে চলবে না

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ''দন্তহীন বাঘ'' আখ্যা দিয়ে হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দুদককে দন্তহীন বাঘের মতো আচরণ করলে চলবে না। রোববার এক রিট আবেদনের শুনানির সময় আদালত এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় দুদককে দুর্নীতিগ্রস্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনটির সংস্কার করতে হবে। যেন করদাতারা দেশে ও বিদেশে থাকা তাদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ করতে পারেন।

সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে জমা টাকা ফিরিয়ে আনতে দায়ের করা রিটের শুনানির সময় এসব কথা বলেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এ সময় আবেদনকারীদের একজন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান আদালতকে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে অর্থ পাচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শেখ তৌহিদুল হকের তৈরি গবেষণাপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় জিডিপির ৬০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ড অর্থনীতিতে চলে গেছে। ১৯৭৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এ হিসাব। বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের সেকেন্ড হোম এখন মালয়েশিয়া।

দুদক এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থ পাচার প্রতিরোধ এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও এ সময় আদালতের সামনে যুক্তি দেখান এই আইনজীবী।

এরপরই পুনরায় শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। সেখানে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংকে জমা অর্থ ফেরত আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।