যুবলীগে বয়সের বাধ্যবাধকতা না রাখার প্রস্তাব

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগে বয়সের বাধ্যবাধকতা না রাখতে দলটির প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এ আহ্বান জানিয়েছেন।

মির্জা আজম

বর্তমানে যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে ৫৫ বছর বয়সের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নেতা শেখ হাসিনা এ বাধ্যবাধকতা দেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে আজ বুধবার যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা আজম।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা আজম বলেন, আপনার কোনো কর্মী অবসরে যেতে চায় না। তারা আপনার সঙ্গে আমৃত্যু কাজ করতে চায়। আপনি গত সম্মেলনে ৫৫ বছরের বার (বাধ্যবাধকতা) দিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেককেই সংগঠন থেকে অবসর নিতে হয়েছে।

যুবলীগের লোগো

তিনি আরো বলেন, এক ঝাঁক যুব নেতৃত্ব আমার সামনে। বয়সের কারণে আগামী সম্মেলনে তাদের অনেকেই বাদ যাবে। সুতরাং আমাদের অনুরোধ, বয়সের এই বাধা আপনি তুলে দিন। এ ছাড়া দেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন যুবলীগ থেকে অবসরে যাওয়া নেতৃত্বকে আগামীতে আওয়ামী লীগে পদায়নের জন্য নির্দেশনা দেবেন।

এ সময় যুবলীগের সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে একটি ‘সাবেক যুবলীগ ফোরাম’ করার ব্যাপারেও শেখ হাসিনার অনুমতি প্রার্থনা করেন মির্জা আজম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।