রায় ঘোষণার সময় হাজির 'পলাতক' আসামি

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৯ জনের রায় ঘোষণা করা হয়। ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৫ জনকে ২০ বছর করে জেল ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল গেটে ফয়জুল্লাহ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে এই প্রথম কাউকে খালাস এবং মৃত্যুদণ্ড না দেয়ার ঘটনা ঘটে। সেইসঙ্গে আরো একটি ইতিহাস সৃষ্টি হয় ট্রাইব্যুনালের ৪২তম রায় ঘোষণার দিন।

রায় ঘোষণার আগমুহূর্তে মামলাটির প্রধান আসামি দাবি করে আত্মসমর্পণ করতে ট্রাইব্যুনালের গেটে আসেন এক ব্যক্তি। তার নাম এ এফ এম ফয়জুল্লাহ। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সুষ্টি হলে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয় তাকে। পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয় দণ্ডপ্রাপ্ত হিসেবে।

আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ। গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ওসি ফয়জুল্লাহর পরিচয় নিশ্চিত করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)

মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল্লাহ এতদিন পলাতক ছিলেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম। আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জানান, সব আসামিকে তিনিও ঠিকভাবে চেনেন না।

এ মামলায় গতকাল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

রায়ের বিষয়ে প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, ট্রাইব্যুনালে কোনো আসামিকে খালাস দেয়া, কোনো আসামিকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া এটিই প্রথম মামলা।

মামলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়ে শেষ হয় গত বছরের ২৬ জানুয়ারি। আসামিদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি ৪ জন পলাতক রয়েছেন।