দেশের ১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে

দেশের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

প্রতিকী ছবি

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের অনেক দেশে ইতোমধ্যে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে খুব কম দেশই এখন অবধি মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে। বাংলাদেশসহ মোট ১৫টি দেশ তাতে সফল হয়েছে।

''গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন ব্যক্তি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের চেয়েও কিছুটা বেশি।''

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান

তিনি বলেন, ইসরায়েল এক শতাংশের চেয়েও কিছু বেশি মানুষকে টিকা দিয়েছে। কিন্তু তাদের জনসংখ্যা অনেক কম। যুক্তরাজ্য সর্বোচ্চ ২৩ শতাংশ মানুষকে এর আওতায় আনতে পেরেছে। এমনকি ভারতও এই টার্গেটে এখনো যেতে পারেনি।

সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসি অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সালান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা.আবু জামিল ফয়সাল প্রমুখ।