আপনি পড়ছেন

এবারের ঈদের ছুটি বেশ লম্বা। এর আগে এতো ছুটি কমই পাওয়া গেছে। বেশ ক'বছর ধরেই আমাদের দেশে ছুটি-ছাটায় ঘোরাঘুরির সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ছুটির এই সময় স্বভাবতই সবাই নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ছুটলেও দূরে না হোক কাছে পিঠে কোথাও কিংবা ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যেতে আগ্রহী এমন লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

meghna village

পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সেই জায়গাগুলো থেকে। ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যাবার মত দারুন কিছু রিসোর্ট সম্পর্কে জেনে নিন-

মেঘনা ভিলেজ

সারাদিনের জন্য পরিবার-বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মুন্সীগঞ্জ জেলার মেঘনা নদীর ব্রিজ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেঘনা ভিলেজে। এখানে দিনে দিনে ফেরত আসা যায় আবার চাইলে রিসোর্ট ভাড়া করেও থাকা যায়। নেপালি কটেজের আদলে তৈরি কটেজগুলো এসি-ননএসি দুরকমেরই আছে। চাইলে শুধু এক দিনের জন্যও কটেজ ভাড়া করতে পারবেন। ভিলেজের খাবারে পাওয়া যাবে ঘরোয়া স্বাদ। নৌকা ভ্রমণ ও খেলাধুলারও রয়েছে সুব্যবস্থা।

পদ্মা রিসোর্ট

মুন্সিগঞ্জেই রয়েছে আরেকটি নয়নাভিরাম ও অপরূপ সুন্দর রিসোর্ট পদ্মা রিসোর্ট। ঢাকা থেকে রিসোর্টের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা নদীর পাড়ে এটি অবস্থিত।১৬টি ডুপ্লেক্স কটেজে প্রতিটিতে আছে একটি বড় ও দুটি সিঙ্গেল বেডরুম, ড্রইংরুম, দুটি ব্যালকনি এবং বাথরুম। খাওয়া দাওয়ায় রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে টাটকা ইলিশ, শাকসবজি, গরু-মুরগি-হাঁসের মাংস এবং মৌসুমি ফলফলাদিও পাবেন। নৌকা ভ্রমণ, নদীতে মাছ ধরা ও খেলাধূলারও ব্যবস্থা রয়েছে।

জল জংগলের কাব্য

প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে ডিজাইনারের নিপুণ ছোঁয়ায় আরো প্রাকৃতিক করে গাজিপুর জেলার টংগীর পুবাইলে তৈরি করা হয়েছে জল জংগলের কাব্য নামের রিসোর্টটি। সারাদিনের ঘুরে আসার জন্য রিসোর্ট চমৎকার।খরচও কম।রিসোর্টে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

থার্ড টেরেস রিসোর্ট

মিয়া বাড়ি সড়ক, গাজীপুরে অবস্থিত থার্ড টেরেস রিসোর্ট।ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আধঘন্টার পথ। তিন একর জায়গা জুড়ে প্রাখৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত রিসোর্টটিতে কটেজতো আছেই এছাড়া বাগান, পুকুরসহ গ্রামীন ছোঁয়া পাবেন। কম খরচ পরিবার নিয়ে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারবেন। খাবার দাবারেরও সুব্যবস্থা আছে। চাইলে বাগানে বা পুকুড়পাড়ে বারবিকিউর আয়োজন করে দেয়া যাবে।

গ্রিনটেক রিসোর্ট

গ্রিনটেক রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে ভবানীপুর, গাজীপুরে অবস্থিত। রিসোর্টতি ঘন সবুজ ঘাস এবং বিভিন্ন গাছে ঢাকা ছয় একর জায়গা জুড়ে রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব উৎযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।প্রয়োজনীয়তা, পরিবহন সুবিধাসহ সার্বক্ষণিক সেবা দেয়া হয়।৩৮টি ডাবল রুম (এসি ও নন-এসি), ২টি পৃথক কটেজে ফোর ডিলাক্স কক্ষ রয়েছে।সাধারণ খাওয়া দাওয়াতো আছেই পাশাপাশি বারবিকিউ ডিনারেরও ব্যবস্থা আছে। ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, বাচ্চাদের খেলার মাঠ, মাছধরা, স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় বিনোদনের সুযোগ আছে।

রয়েল রিসোর্ট

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা জেলার মধুপুর-জামালপুর মহাসড়কে অবস্থিত রয়েল রিসোর্ট। ব্রিটিশ শাসনামলে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। বাগদাদ থেকে তার পূর্বপুরুষেরা এখানে এসে ধনবাড়ী জমিদারি পরিচালনা করত।এই জমিদার বাড়িই রয়েল রিসোর্ট। বড়প্রাসাদ, মঞ্জিল, ভিলা, মনোরম মিনার, গম্বুজ বিশিষ্ট সাতশো বছরের পুরনো গ্র্যান্ড নবাব মসজিদ এবং একশ বছরের পুরনো মোজাইকের ঘর এবং সুন্দর পাথর বসানো বিশাল পুকুর রয়েছে। ভ্রমণকারীদের জন্য পুরনো এই স্থাপত্যগুলোর রক্ষনাবেক্ষণ করা হয় অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে। বড় দিঘীতে রয়েছে মাছ ধরা ও নৌকাভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের খেলাধূলারও ব্যবস্থা আছে রিসোর্টটিতে।

পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে এবারের ঈদ হোক আনন্দময়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ভারত ভ্রমণের কথা: সূর্যের আলোয় বদলে যায় তাজমহলের রঙ

ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসুন ভুটান

চলে আমার হাওয়ার গাড়ি উইড়া উইড়া

একশ’ পার্সেন্ট হালাল ভ্রমণ!

মনোমুগ্ধকর গ্লাস বিচ