প্রধানমন্ত্রী: ইতিহাসকে সহজে মুছে ফেলা যায় না

অতীতে নিষিদ্ধ করা হলেও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণ এখন বিশ্বস্বীকৃত- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এতো সহজে ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফাইল ছবি

দিবসটি উপলক্ষে আজ রোববার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।

ইউনেস্কোর উদ্যোগে জাতিসংঘের প্রতিটি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির অনুবাদ প্রচার করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যকে দাবিয়ে রাখা যায় না, আজকে সেই সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে।

ভাষণের পটভূমি বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি জাতির জন্য কেবল রণকৌশলই নয়, নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। যুদ্ধের রণকৌশলে তার বক্তৃতা ছিল কার্যকরী। তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল বাস্তবমুখী।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু, ফাইল ছবি

’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাঙালির জীবনে ‘কালো অধ্যায়’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরাজিতরা বসে নয়, সর্বক্ষণ ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত ছিল। যুদ্ধবিধস্ত দেশটাকে গড়তে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নেয়ার সময় ঘটনাটি ঘটানো হয়।

পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চেষ্টা ও ফাঁসির আদেশ দিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনসহ সবকিছু উৎসর্গ করেছেন, তাদের হাতেই তাকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জীবন দিতে হলো। গোটা পরিবারকে হত্যা করা হলো, বিদেশে থাকায় বেঁচে ছিলাম আমরা দুই বোন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।