তুরস্কে পরমাণু চুল্লি উদ্বোধন করলেন এরদোয়ান-পুতিন

তুরস্কের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চুল্লির উদ্বোধন হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

‘আকুয়ু নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট’ নামের এ প্রকল্পকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর অংশীদারিত্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন দুই নেতা।

এরদোয়ান বলেন, ‘পরমাণু ক্ষেত্রে তুর্কি-রুশ সংলাপের ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। আগামী দিনে এ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জ্বালানি অবকাঠামোতে পরমাণু বিদ্যুৎ অন্তর্ভুক্ত করার এ সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সুরক্ষায় একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের তুর্কি প্রজাতন্ত্রের শততম বার্ষিকী ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশগুলোর দলে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করব।’ তিনি উল্লেখ করেন, স্থাপনার মোট চার ইউনিটের প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সালে অপারেশনে যাবে।

তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, এ তুর্কি-রুশ প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন যুগের সুচনা হয়েছে। তুরস্কের জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি এটি দেশটির অর্থনীতিকে আরো মজবুত করবে।

গত নভেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলীয় মেরসিন প্রদেশে নির্মীয়মান প্লান্টের তৃতীয় ইউনিটের কনস্ট্রাকশন লাইসেন্স অনুমোদন করে তুরস্ক।

বাকি তিন ইউনিটের সবগুলোই ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ অপারেশনে যাবে বলে জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ। দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয় গত বছরের জুনে।

২০১০ সালের মে মাসে দুই দেশ এ পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করে। কেন্দ্রের সেবার মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬০ বছর। এটি আরও ২০ বছর বাড়ানো যাবে। এ প্লান্ট থেকে বিরতিহীনভাবে কার্বনমুক্ত জ্বালানি উৎপাদিত হবে।

এ প্লান্টে মোট বিনিয়োগ হচ্ছে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর নির্মাণকাজে ১৫ হাজার শ্রমিকের সম্পৃক্ততা থাকবে। অপারেশনের সময় কাজ করবেন ৪ হাজার লোক। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় ১৮৬ তুর্কি প্রকৌশলী এখানে কাজ করবেন। ৫৮ শিক্ষার্থী ২০২২ সালে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে এ প্রকল্পে যুক্ত হবেন।