কাদের মির্জা: আল্লাহ আমার বিচার করবেন

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেছেন, বাদল (তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী) আমাকে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিল। অথচ ঘটনা এখন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা

তিনি বলেন, রাজনীতি করলে গ্রেপ্তার হতে হয়। রাজনীতির জন্য এটা কঠিন কোনো বিষয় নয়।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা কাদের বলেন, সেদিন যখন সংঘর্ষ হয় তখন বাদল আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আমার পাশে থাকা ছাত্রলীগের এক ছেলের গায়ে সেই গুলি লাগে। বর্তমানে সে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।

তিনি বলেন, আমাকে বাদল হত্যা করতে চেয়েছিল। এখানে সিএনজি চালক আলাউদ্দিন কীভাবে আসে, আমি বলতে পারছি না। নেতাকর্মীকে আমি কোনো অস্ত্র দিইনি। যদি দিয়ে থাকি আল্লাহ আমার বিচার করবেন।

বাদলকে গ্রেপ্তার করায় খুশি হয়েছেন জানিয়ে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন যে, আলাউদ্দিনের হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা কেউ মেনে নেবে না।

গ্রেপ্তার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদল

তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ যে অপরাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে, সেটা সম্ভব হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের কারণে। কোম্পানীগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হোক, সেটা আমিও চাই। যারা অপরাজনীতি করে তাদের সঙ্গে আমি নাই।

অতীতের কর্মকাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে কাদের মির্জা বলেন, আবারো বলছি, সত্য কথা বলব, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখে শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে থাকব।

এর আগে সম্প্রতি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজি চালক নিহতের ঘটনায় আব্দুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।