সাড়ে সাত বছর পর তুরস্ক-মিশর যোগাযোগ

সেই ২০১৩ সালের জুলাইয়ে সম্পর্কে ফাটল শুরু হওয়ার পর তুরস্ক এবং মিশরের মধ্যে প্রথম কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু শুক্রবার এ তথ্য জানান।

সাড়ে সাত বছর পর তুরস্ক-মিশর যোগাযোগ

কাতার থেকে ফিরে কাভুসোগলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোয়েন্দা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- দুই পর্যায়েই আমরা মিশরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কূটনৈতিক লেভেলে আমাদের যোগাযোগ শুরু হয়ে গেল।

কোনো পক্ষের দিক থেকে পূর্বশর্ত ছিল না উল্লেখ করে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ছিন্ন থাকা সম্পর্ক একবারে এবং সহজে জোড়া লাগবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আস্থার সংকট থাকাটা স্বাভাবিক এবং দুই পক্ষের ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে।’

কাভুসোগলু তুরস্কের আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট কৌশল, একটি রোডম্যাপের অধীনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এবং অব্যাহত থাকবে।’

কাভুসোগলুর মন্তব্যের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শুক্রবার বলেন, ‘গোয়েন্দা, কূটনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে মিশরের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

সাড়ে সাত বছর পর তুরস্ক-মিশর যোগাযোগ

এরদোয়ান বলেন, ‘যোগাযোগটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে হয়নি, সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটু নিচ থেকে হয়েছে। আশা করছি, আমরা মিশরের সঙ্গে এ প্রক্রিয়া বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিতে পারব।’

এ মাসের শুরুতে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মিশরের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারে তুরস্ক, তবে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শর্তের ওপর নির্ভর করবে।

এরপর তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেন, ভূমধ্যসাগরে ভূমিকম্প-সংক্রান্ত অনুসন্ধান চালানোর সময় তুরস্কের মহাদেশীয় শেলফকে মিশরের সম্মান করার সিদ্ধান্ত বড় একটি অগ্রগতি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইবরাহি কালিন গত সপ্তাহে মিশরকে আরববিশ্বের হৃদয় ও মস্তিষ্ক উল্লেখ করে বলেন, কায়রো এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের নতুন খাতা খুলবে তুরস্ক।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মিশরের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তুরস্ক ও মিশরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।