পলিথিন-পত্রিকা ব্যবহারে সতর্কবার্তা, কী করবেন ভোক্তারা?
- Details
- by নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের রেস্তোরাঁ ও খোলা বাজারে খাবার বিক্রি এবং বিভিন্ন কোম্পানির খাদ্য পণ্যে পলিথিন, প্লাস্টিক দ্রব্য ও পত্রিকা ব্যবহৃত হয় বহুলাংশে। এমন প্রেক্ষাপটে খাদ্য স্পর্শক, উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।
ফাইল ছবি
জনসচেতনতায় বলা হয়, পলিথিন বা পুরনো পত্রিকা ব্যবহার করা যাবে না খাবারের মোড়কে। কিন্তু অনেকেই বলছেন, নতুন নির্দেশনার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। এমতাবস্থায় ভোক্তা সাধরণ কী করতে পারেন?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের দুজন পরিচালক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তারা অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ৩৩৩ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর তাদিগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে জনসারণকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে সংস্থাটির পরিচালক আব্দুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। জানতে হবে কোনটা নিরাপদ আর কোনটা নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অধিদপ্তরের ৬০ শতাংশ কাজ গণসচেতনতা তৈরি এবং বাকি ৪০ শতাংশ এনফোর্সমেন্ট বলে জানান তিনি। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে জেলা, উপজেলা পর্যন্ত মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে।
বিভিন্ন পর্যায়ে পরিদর্শকরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, ভোক্তারা অভিযোগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সাহায্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির নিয়ম আছে।
আরেকজন পরিচালক আবু সাইদ মোহাম্মদ নোমান বলেন, বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করছেন তারা। তা ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমেও বাজার তদারকি করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ভোক্তা-ক্রেতাদের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতে পারেন। তার ভিত্তিতে বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
কর্মকর্তারা বলছেন, খাবার উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোগ পর্যন্ত তা দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রতিটি পর্যায়ে সম্পৃক্তদের সতর্ক হতে হবে।
এ জন্য খাদ্য স্পর্শক বা মোড়কের ক্ষেত্রে ১২টি বিষয়ে সতর্ক করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এসব মেনে চলতে খাদ্য উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, মোড়কজাতকারী, ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সতর্কীকরণ নির্দেশনাগুলো হলো
খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টির মতো স্পর্শক বা মোড়ক ব্যবহার করা যাবে না। খাদ্যের রং, গন্ধ ও উপাদানের পরিবর্তন ঘটানোর মতো স্পর্শক বা মোড়ক নয়। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে খাদ্য ও স্পর্শক উৎপাদনের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল।
মোড়কে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। গরম খাবার ও পানীয়তে নিম্নমানের ও রিসাইকেলড পলিথিন বা পত্রিকা নয়, প্লাস্টিক কাপ/বক্স/পাত্রও ব্যবহৃত হবে না। অনুমোদিত সীমার বাইরে যেতে পারবে না খাদ্য স্পর্শকের নির্গমিত বস্তু ও বস্তু কণা।
ভোক্তা বিভ্রান্ত হওয়ার মতো তথ্য খাদ্য স্পর্শক বা মোড়কে থাকতে পারবে না। খাদ্য উৎপাদনের যাবতীয় নথি মুদ্রিত ও ই-কপি সংরক্ষণ করতে হবে। বাড়তি ৩ মাস সংরক্ষণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট উপকরণ কেনার চালান।
খাদ্য স্পর্শক, মোড়কে থাকতে হবে স্পর্শক উৎপাদক বা বিক্রেতার নাম, ঠিকানা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর। উৎপাদন, আমদানি ও বিতরণের যেকোনো পর্যায়ে মান যাচাই এবং সংশ্লিষ্ট স্থাপনা পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ করা যাবে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.