আমিরাত-ইসরায়েল টানাপোড়েন, বড় আয়োজন বাতিল

গত বছরের আগস্ট মাসে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। এ নিয়ে আরব বিশ্ব তো বটেই, গোটা মুসলিম বিশ্বে সমালোচনা হয়। কিন্তু তার পরও আমিরাতকে অনুসরণ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয় বাহরাইন ও সুদান।

শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর এই প্রথম আবুধাবি ও তেলআবিবের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এর জেরে আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য একটি শীর্ষ অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জানা যায়, সুদানের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে আগামী এপ্রিল মাসে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ছিল। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও আরো কয়েকটি আরব দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের কথা ছিল।

তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ওই অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডে। গত বছরের আগস্ট মাসে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর এটিই প্রথম ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের দ্বন্দ্বের ঘটনা বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সেই অনুষ্ঠান

আমিরাতের অভিযোগ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবুধাবির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টিকে আগামী নির্বাচনের তার নিজের ভাগ্য গড়ার ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি আরব আমিরাতের শাসক শেখ মুহাম্মাদ বিন জায়েদের নাম আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করছেন।

আবুধাবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে বলছেন যে, তার একক প্রচেষ্টায় এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। এ কারণেই ইসরায়েলে ১ হাজার কোটি ডলার অর্থ বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত। এ ক্ষেত্রে নেতানিয়াহু আমিরাতি শাসক বিন জায়েদের নাম নিচ্ছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীর উদ্দেশে বলছেন যে, এ ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কিংবা অর্জন তার প্রতিপক্ষের নেই।

জানা যায়, আগামী ২৩ মার্চ ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।