টিকা রপ্তানি স্থগিত করলো ভারত

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ নাম দিয়ে উৎপাদন করছে ভারত। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই দায়িত্ব নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে যখন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত অবস্থা, তখন হঠাৎ করে টিকা রপ্তানি স্থগিত করলো তারা।

গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে টিকা সরবরাহ স্থগিত করার এই ঘোষণাকে তারা ‘সাময়িক’ উল্লেখ করে বলেছে, এপ্রিলের শেষ নাগাদ আবার টিকা রপ্তানি শুরু হবে।

রপ্তানি স্থগিত করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতে নতুন করে বেড়ে গেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এ অবস্থায় টিকাদান কর্মসূচি আরো গতিশীল করতে তথা উৎপাদিত টিকা দেশেই ব্যবহার করতে রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও করোনার টিকার জন্য চুক্তি করেছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৯০ (চুক্তির আওতায় ৭০ লাখ ডোজ) লাখ ডোজ টিকা। রপ্তানি স্থগিতের ঘোষণায় আরো টিকা নিয়ে আসাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।

গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো টিকা এসে পৌঁছায়। সেটা ছিল ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেওয়া ২০ লাখ ডোজ। পরবর্তীতে গত ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা, যা ছিল সেরামের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির আওতায় প্রথম চালান। এরপর এসেছে আরও ২০ লাখ ডোজ।

গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে প্রথম টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ওই দিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সকে দেওয়ার মাধ্যমে পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি।