পশ্চিমবঙ্গে বোমা মেরেছে পাকিস্তানিরা!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশ কর্মকর্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তান সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ, গভীর রাতে পাকিস্তানি দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে পুলিশের ওপর। পটাশপুরের ওসিকে বোমা মেরেছে পাকিস্তানিরা।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে টহল দেওয়ার সময় পটাশপুর থানার আড়গোয়ালের সাতশতমালে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। আহত হন ওসি দীপককুমার চক্রবর্তীসহ এক আধাসেনা সদস্য। আহত ওসিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আহত জওয়ানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, পুলিশের ওপর হামলাকারী ওই দুষ্কৃতীরা পাকিস্তান থেকে এসেছে। তিনি বলছেন, ‘রাতে কিছু পাকিস্তানি ফুলবাড়িতে গোলমাল করেছে। পটাশপুরে ওসিকে বোমা মেরেছে পাকিস্তানিরা। এটা নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত।’

এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও রাজ্যের ভোটে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করা হলেও রাজ্যের ভোটচিত্রে তেমন বদল আসেনি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘কাল (শুক্রবার) রাতেও এখানে খুন হয়েছে। মেদিনীপুরে বোমাবাজি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে এতদিন ভোট হচ্ছিল, সেভাবেই ভোট হচ্ছে। বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। আমরা কমিশনকে বারবার জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একতরফা তো কিছুই হবে না। এরপর পালটা হবে। আর সেটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দিলীপ ঘোষের সুরই প্রতিধ্বনিত হয়েছে কংগ্রেসের রাজ্যসভার এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্যের গলাতেও। তারও অভিযোগ, ‘রাজ্যে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তারা ঠিকমতো কাজ করছে না। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা আগের মতোই সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’

শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটগ্রহণের সময় বিভিন্ন স্থান থেকে সহিংসতার খবর এসেছে। ৮ দফা ভোট শেষে ২ মে ফল ঘোষণা করা হবে।