মোজাম্বিকের শহর দখলে নিয়েছে ‘আইএস’!

মোজাম্বিকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর পালমাতে জঙ্গি হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। অবরুদ্ধ করে রাখা একটি হোটেল থেকে পালানোর চেষ্টাকালেই ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওমর সারাঙ্গা নামের ওই মুখপাত্র। বুধবার থেকে সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সঙ্ঘর্ষ চলছে।

মোজাম্বিকের শহর দখলে নিয়েছে ‘আইএস’!

বিবিসি জানিয়েছে, সশস্ত্র জঙ্গিরা পালমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে বেশ কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে ওই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

আইএস-সম্পৃক্ত জঙ্গিরা বুধবার ওই শহরে হামলা শুরু করে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা উদ্ধারকারী নৌকার অপেক্ষায় সমুদ্রতীরে লুকিয়ে থাকার সময় ছড়ানো-ছিটানো একাধিক মাথাবিহীন দেহ দেখেছেন।

এক ঠিকাদার জানিয়েছেন, হোটেল থেকে গাড়িবহরে পালানো অনেকে শুক্রবার রাতে সমুদ্রতীরে লুকিয়ে ছিলেন, শনিবার সকালে নৌকায় করে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পালমার বাসিন্দা এবং সেখানে যারা কাজ করেন তারাই এ উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয় করছেন বলেও জানান এ ঠিকাদার।

উদ্ধার অভিযান-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পালমা থেকে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষকে নিয়ে একটি নৌকা রোববার স্থানীয় সময় বিকালে বন্দরনগরী পেমবায় পৌঁছেছে। পালমা থেকে পেমবার দূরত্ব প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার।

মোজাম্বিকের শহর দখলে নিয়েছে ‘আইএস’!

যুক্তরাজ্যের সরকার ওই এলাকায় থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের সহযোগিতা দিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর আফ্রিকা জেমস ডুডরিজ।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিজ দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে মোজাম্বিকে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিকে, এ হামলার ফলে আফ্রিকা মহাদেশে ফ্রান্সের বিশাল একটি বিনিয়োগ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। কেননা, এ এলাকাতেই ফরাসি প্রতিষ্ঠান টোটাল গ্যাসের কয়েক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। মূলত ওই প্রকল্পকে কেন্দ্র করেই এলাকাটিতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার বহু বিদেশি ঠিকাদার ও কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোজাম্বিকের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে টোটাল কর্তৃপক্ষ।